মুক্তমন রিপোর্ট : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আলোচিত ফোর মার্ডারের মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় নিহত সুলতানের ভাই মমতাজ ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাদেরকে রাতে হত্যা করেন বলে স্বীকার করলে এ রায় দেন আদালত।
জেলা দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ রায় দেন। এ সময় মোট সাত আসামির মধ্যে ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি শুরু থেকেই পলাতক। আর তিনজন জেলে এবং তিনজন জামিনে ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মনজু, আমীর হামজা ওরফে আমির হোসেন, জাকির হোসেন ওরফে রাসেল খান, জালাল গাজী ওরফে পলাশ গাজী এবং হাসমত আলী শেখ। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নাইনুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ভোরে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান মণ্ডল এবং তাঁর নাতনি রোমানা ও আনিকার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ শোবার ঘরে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান সুলতান মণ্ডলের স্ত্রী হাজেরা বেগম। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান অজ্ঞাতদের আসামি করে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন। পরে একই এলাকায় চান্দ মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করলে তারা সুলতান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন। আসামিপক্ষে ছিলেন সাবেক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু, মনোয়ারুল হক আলো, আমীর আলী, এ টি এম এরশাদুল হক চৌধুরী শাহিন এবং আসাদুল হক।
মামলার রায় শুনে বাদী হাফিজুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন বলেন, 'অর্থের বিনিময়ে আসামি মমতাজ তার ছোট ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। পরবর্তী সময়ে চাঁদ মিয়া হত্যা মামলায় আসামিদের আটকের পর হত্যারহস্য উন্মোচিত হয়। আসামিরা সবাই সিরিয়াল কিলার। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যাসহ ৮-১০টি করে মামলা রয়েছে।