মুক্তমন ডেস্ক: তিস্তাসহ ৬ টি নদীর পানি বন্টন চুক্তি খসড়া চূড়ান্তসহ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে উদ্যোগে বাংলাদেশকে শামিল করার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।
দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ অনুরোধ করা হয়। এছাড়া ২০২১ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রস্তুতির দিক নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বৈঠকে আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব। শুক্রবার দিল্লিতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এই বৈঠক করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে দেখা করেন মাসুদ বিন মোমেন এবং ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে উদ্যোগে বাংলাদেশকে শামিল করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের একটি অনুরোধপত্র পৌঁছে দেন।
শুক্রবার বৈঠকের পরে রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোদির সফরের আগে স্বরাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, পানি সচিব, নৌপরিবহন সচিব, কাস্টমস জয়েন্ট গ্রুপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তি সই দ্রুত সম্পাদনের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো এটি তাদের বিবেচনাধীন আছে। এছাড়া গোমতি, মনু, খোয়াই, ধরলা, দুধকুমার ও মহুরী নদীর পানিবণ্টনের কাঠামো চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করার প্রস্তাব করে ভারত।
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের জন্য দুই দেশের মধ্যে আরও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সে সময় এও উল্লেখ করা হয় যে কনসুলার বিষয়াদি সহজ করা হলে দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে
বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন শুল্ক বিষয়ক বাধা ও জটিল কাস্টমস প্রক্রিয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ। এটি সমাধানের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
কানেক্টিভিটি বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল মোটর ভেহিক্যাল চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেয় বাংলাদেশ।
ভারতের লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় নেওয়া প্রকল্পগুলো শেষ করার ওপর বিষয়ে আলোচনার সময়ে প্রকল্প অনুমোদন, কাঁচামাল সংগ্রহ, ব্যাংকিং কাগজপত্র, গ্রেস সময় নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয়াদি সহজীকরণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়।
২৬ মার্চ ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের একটি কন্টিনজেন্টকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশ। দুই বাংলাদেশিকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
কোভিড সহযোগিতার আওতায় ইতোমধ্যে তিন কোটি ডোজের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ ভারত থেকে বাংলাদেশে পৌছে গেছে এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ আশা প্রকাশ করেন বাকি ডোজ যথাসময়ে বাংলাদেশে পৌছাবে।
এছাড়া নিয়মিত বিমান যোগাযোগ শুরু হওয়া ও ফ্লাইট বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
মাসুদ বিন মোমেন শনিবার সুষমা স্বরাজ ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটে একটি বক্তৃতা দেবেন।