মুক্তমন ডেস্ক : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না, তিনি পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তকে সঠিক উল্লেখ করেন।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা স্থল বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। তার মা-বাবাও ছিলেন পাকিস্তানি। তিনি যদি বাংলাদেশি নাগরিক হতেন তাহলে তার মা-বাবার কবর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন। অতীতে অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমানের মা-বাবার কবর তো আর বাংলাদেশে নিয়ে আনা হয়নি।
মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। অতীতে সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রকল্পে লুটপাটের কারণে আমরা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন প্রতিটি প্রকল্প স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের চাওয়া আমরা পূরণ করতে পেরেছি। মানুষ কি চায়, তা জানার জন্য আমরা ঘরে-ঘরে যাচ্ছি। গ্রামীণ উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছি। রাজনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র একসঙ্গে চালাতে হবে। যা চালকের আসনে থেকে পরিচালিত করছেন শেখ হাসিনা। সব পর্যায় থেকে দুর্নীতি দূর করতে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে করোনাকালীন এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার রাশেদুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজি এম এমদাদুল ইসলাম, ইউএনও মৌসুমী মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান খান।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজতর করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে এ শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ বন্দর দিয়ে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছরা, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পির্ঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা ইত্যাদি আমদানি এবং সকল পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
ঢাকা থেকে এ বন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৮৬ কিলোমিটার। সড়কপথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল রয়েছে। এ বন্দরের বিপরিতে রয়েছে আসামের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি স্থলবন্দর।