মুক্তমন ডেস্ক : বাংলাদেশে এবার পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক বসানোর ইঙ্গিত দিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গেল সঙ্কটে মওকুফ করে দেয়া শুল্ক আবারো ধার্য্যের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সচিবালয়ে রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান টিপু মনুশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকরা যেন মার না খায় আমরা সেদিকেই প্রধান লক্ষ্য রাখছি। কোনো অবস্থাতেই যাতে উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাদের সাপোর্ট না দিলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের আরও খারাপ অবস্থা হবে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাসে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে পেঁয়াজ সংকটে পড়ে দেশ। তখন অন্য দেশ থেকে আমদানি সহজ করতে পেঁয়াজের ওপর ধার্য ৫ শতাংশ শুল্ক মুক্ত করে দেয় সরকার।
পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা প্রস্তাব করব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কী করা যায় তারা সেটা করবে। যদি মনে করে যে, দেয়াটা (শুল্ক) ভালো তাহলে দেবে। বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমার যেটা সাজেশন তাদের প্রতি এবং আপনাদেরও জানাতে চাই— ভারতের পেঁয়াজ আমরা নেব কি নেব না, কী পরিমাণ ডিউটি আরোপ করব, এটা যেন আমাদের উৎপাদকদের কথা বিবেচনা করে এবং ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় আরেকটা কথা হলো, ভারত যে সময় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল সেই সময় আমরা তুরস্ক, মিশর, চীনসহ আরো অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছি। তখন যে ৫ শতাংশ ডিউটি ছিল সেটা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যাতে একটু কম দামে পেঁয়াজ পাওয়া যায়। এখন যদি ভারতের পেঁয়াজের জন্য ডিউটি আবার বসাতেও হয়। তাহলে যে এলসিগুলো আগে ওপেন করা হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তারা যেন এর আওতার বাইরে থাকে। তারা পেঁয়াজ আনার পর লাভ করতে পারেনি, লোকসান করেছে, সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।