শিরোনাম
ড. তাসকুরুন নেসা : ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলি নিউইয়র্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এর এজেন্ডা’ গ্রহণ করে। এজেন্ডায় একটি নতুন বৈশ্বিক শিক্ষার লক্ষ্য ( SDG 4) সহ 17 টি লক্ষ্য রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৪ (SDG 4) হলো, ২০৩০ সাল নাগাদ "অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগগুলি উন্নীত করা"।
দেশে আপামর জনসাধারণকে উচ্চ শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারী এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (AUB) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ অনুযায়ী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদন পেয়ে যাত্রা শুরু করে । মুজিববর্ষে উৎসর্গীকৃত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে “মানব সম্পদ উন্নয়নে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি এর ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার ১৫ জানুয়ারী ২০২১, শুক্রবার বিকাল ৩:০০টায় অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ডঃ আবুল হাসান মোহাম্মদ সাদেক স্যার এবং সভাপতি ছিলেন ডঃ জাফর সাদেক স্যার ।
মানব সম্পদ হ'ল সেই লোকেরা যারা কর্মশক্তি তৈরি করে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ছিল ৫৯.০% (ceicdata)। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে নিম্নলিখিত অবদানের মাধ্যমে AUB বাংলাদেশে মানব সম্পদ উন্নয়ন করছে ।
এউইবি মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করে যাতে আধুনিক বিশ্বে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম করা যায়। AUB শিক্ষার্থীদের অন্যের সাথে কথা বলার দক্ষতা, শোনার, পড়া, লেখার এবং অ-মৌখিক যোগাযোগ দক্ষতা, টিম-ওয়ার্কিং এবং সংঘাত নিরসনের দক্ষতার পাশাপাশি দ্রুত বিকশিত সমাজের ক্রমাগত পরিবর্তনের সাথে লড়াই করার দক্ষতা তৈরি করে। AUB শিক্ষার্থীদের নৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে এবং একটি সুস্থ পরিবেশে শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে সহাবস্থায় সহনশীলতার একটি সমাজ তৈরি করছে। AUB ২০১৯ সালে সন্ধনী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃক রক্তদানের ক্ষেত্রে "The Best Motivator of the Year" পুরষ্কার পেয়েছে।
আড়াই দশকের সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বর্তমানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দেশের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা দেশে এবং বিদেশে সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে । এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা, ব্যাংকিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, গবেষনা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও এবং বহুজাতিক কোম্পানী গুলোতে কাজ করছে এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে উজ্জল করছে । স্বল্প খরচে এই বিশ্ববিদ্যালয় আপামর জনসাধারণের কাছে পাঁচটি অনুষদের অধীনে তেরটি বিভাগের মাধ্যমে গুণগত শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে । ১৯৯৬ সাল থেকে এউবি মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান, অর্থনীতি বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ।