তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, সুনামগঞ্জ : পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেছেন, সারা দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার হুমকি দিচ্ছে অথচ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ সমাবেশ করেনি। যারা ভাস্কর্য ভাঙ্গবে তাদের বিচার হবেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা চারবারের সফল জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জ-সুনামগঞ্জকে একই চোখে দেখেন। সুনামগঞ্জ আর উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছেন। সুনামগঞ্জে রেললাইন স¤প্রসারণ, হাওরে উড়াল সড়ক, রাস্তাঘাট পাকাকরণ, পর্যটন শিল্প স্থাপন, প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্টান স্থাপন করা হবে। সুরমা নদীর দাড়ারগাও-হালুয়াঘাট সেতু নির্মান করা হবে। সর্বোপরি হাওরের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে পদ্মাসেতু, রুপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলকে সমবন্টনের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন অসহায় দরিদ্র মানুষের উপকার হয় এ ধরনের প্রকল্প প্রণয়ন করতে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে যার হাত ধরে স্বাধীনতা পেলাম তার ভাস্কর্র্য ভেঙ্গে দিয়ে স্বাধীনকতাকে অস্বীকার করেছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি। তাদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে এতে অন্যায়ের কিছুৃ না, কিন্তু আপনারা বাংলার স্থপতির ভাস্কর্য তো ভাঙ্গতে পারেন না। তিনি বলেন, তার বাড়িতে যদি ছটির ভেড়া ওথাকে সেটা ভেঙ্গে দেয়ার অধিকার কারো নেই এবং করলে সেটা হবে ফৌজদারী অপরাধের সামিল। যারা জাতির পিতার ভাস্কর্র্য ভেঙ্গেছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। শনিবার শেষ বিকেল (৪টায়) সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে শহরের আব্দুজ জহুর সেতুর পশ্চিম পাড়ে হাউজিং স্টেট মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এসব কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি সংগঠনগুলো কুষ্টিয়াতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার পর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন জেলা যুবলীগ, কৃষকলীগ,শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল মিটিং ও মানববন্ধন করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানালেও জেলা আওয়ামীলীগের কোন কর্মসূচী নেই। তিনি আরো বলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ঢাকায় বসে প্রতিবাদ তো দূরের কথা তারা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার নামে ঢাকায় বসে দিন কাটাচ্ছেন। গাড়ি চড়েই মাঝে মধ্যে সুনামগঞ্জে আসা যাওযা করেন সংগঠনের সভাপতি। তিনি পরিকল্পনামন্ত্রীর মধ্যেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানান, আগামী সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে কমিটির বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে পরিবর্তন করে যোগ্য নিলোর্ভ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের যারা দরদ বুঝেন এমন নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয়ার দাবী জানান।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তিদাসের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মো. আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আলী আমজদ, সহ সভাপতি এড. অবণী মোহন দাস, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এড.শামছুন্নাহার বেগম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি শেরগুল আহমদ, জেলা পরিষদের সদস্য মো. হোসেন আলী ও ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজন প্রমুখ।
এছাড়া সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ছাড়া ও দিরাই পৌরসভার মেয়র মো.মোশারফ মিয়া,সাবেকসিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা,জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ,ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রুকন উদ্দিন,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারেন সম্পাদক অমল কান্তি কর, জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, যুগ্মআহবায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, সিনিয়র সদস্য নুরুল ইসলাম বজুল, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মো.জিয়াউল হক, পরিকল্পনামন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব মো. আবুল হাসনাত, দক্ষিণ সুনামগঞ্জউপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষখ নুর হোসেন, সদর যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমদ উজ্ঝল, জলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংঙ্কর কান্তি দে,তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. রিপন মিয়া, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগিসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।