নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারী সদর উপজেলায় আগাছা নাশক স্প্রে করে ৩৫ জন কৃষকের এক একর বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট করেছে দুবৃর্ত্তরা। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে অনিশ্চিতায় পড়েছেন কৃষকরা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানা হাউদার দোলায় এক একর জমিতে বোরো ধানের বীজ চারা চাষ করেন ওই এলাকার ৩৫ জন কৃষক। এই বীজ দিয়ে এলাকার ৩৫জন কৃষক প্রায় এক’শ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে থাকেন। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে রোপনের উপযুগি হয়ে উঠত চারা গুলো। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর রাতে কে বা কাহারা বীজতলায় আগাছা নাশক স্প্রে করেন। এরপর থেকে লগলগে বেড়ে উঠা চারাগুলো লালচে ও বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যেতে শুরু করে। বর্তমানে চারা গুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে রোপনে অনুপযুগি হয়ে পড়েছে। এতে করে চলতি বোরো আবাদ নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মোন্নাফ, ভবেশ চন্দ্র দাস, জিতেন, মিঠুন চন্দ্র, অভিনাশ চন্দ্র, আলমাস হোসেন, কানু দাস, সুভাষ চন্দ্র, মহেশ চন্দ্র, নুর আলম বলেন সম্প্রতি ওই এলাকার অলিয়ার রহমানের একটি হাঁস বীজতলার পার্শ্বে কে বা কাহারা ডিল মেরে আহত করেন। এরই জের ধরে হাঁস মালিক ক্ষীপ্ত হয়ে রাতের আধাঁরে আগাছা নাশক দিয়ে বীজতলা নষ্ট করেছে বলে তাদের ধারণা। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মোন্নাফ বাদী হয়ে দু’জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল ইসলাম জানান আগাছা নাশক স্প্রে করে আমারসহ ৩৫ জন কৃষকের বীজতলা নষ্ট করা হয়েছে। হাঁস মারার ঘটনার জেরে এটি করা হয়েছে বলে তিনিও জানান।
নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ১৮ কেজি বীজধান দেয়া হয়েছে।