মুকবুল হোসেন,গজারিয়া : মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বাংলাদেশের সোনালী ফসল রবি শস্য আলুর বাম্পার ফলনের পরেও উপজেলার আলুচাষিরা লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটছে ।
উপজেলার টেঙ্গার চর ইউনিয়ন, ইমামপুর ইউনিয়ন ,বাউশিয়া ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকজন আদর্শ আলু চাষীদের সাথে আলাপকালে জানা যায় এই বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ আলুচাষিদের প্রত্যাশিত আলুর ফলন হয়েছে ।
টেংগার চর গ্রামের আলু চাষী আমানুল্লাহ জানান ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ বিঘা আলু চাষ করে গজারিয়া উপজেলায় একজন আলুচাষী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন । অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই আলু চাষ ও আলুর ব্যবসা করে ৪২ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে । গত বছর আলুর ভালো দাম পেয়ে ভালো একটা লাভের মুখ দেখেছেন । ২০২১ সাল এই বছরেও তিনি প্রায় ৩০ বিঘা জমি আলু চাষ করেছেন যা ডায়মন এলগা । আবহাওয়া আলুর চাষের অনুকূলে থাকায় ফলনও প্রকাশিত হয়েছে । প্রতি বিঘায় ডায়মন্ড এলগা ১০০ মন ধরে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান বর্তমান বাজার মূল্য উৎপাদিত খরচ হিসেবে লাভবান হলেও উৎপাদিত আলু রপ্তানিমুখী না করা হলে এবারও চাষীদের বাম্পার ফলনে বড় অংকের টাকা লোকসান গুনতে হবে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আহমদ নূর জানান এই বছর উপজেলায় ২৪৫৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুচাষিদের ভালো ফল মিলবে । তিনি আরো জানান পুরো উপজেলাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে একযোগে আলু উৎপাদিত হলে আলু চাষিরা লাভবান নাও হতে পারেন ।
আলু রপ্তানিমুখী প্রসঙ্গে জানান আলু বিপণন অধিদপ্তর ও কৃষি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। এখন পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে কোনো সংবাদ পৌঁছেনি ।আমরা শুধু আলুচাষিদের ভালো উৎপাদনের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি ।