চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কীভাবে নিজেদের পক্ষে ভোট আনতে হবে, তার ‘কায়দা’ শেখানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। সেখানে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন কর্মীদের নানা কায়দাকানুন বাতলে দিচ্ছেন।
ভিডিওতে দেলোয়ার হোসেনকে বলতে দেখা যায়- বিএনপি-জামাতের লোককে ব্যারিকেড দিয়ে ভোট আটকিয়ে দিব, আমার নৌকাকে ভোট দিয়ে দিব। তাহলে কী হবে জানেন? যারা বিএনপি জামাতের লোক, ভোট দিতে যেতে পারলো না, আমাদের এখানে যে ৫০০ ভোট, ওই ৫০০ ভোট থেকে গেলো। ভোটের অনেক কৌশল আছে। এই কৌশলগতভাবে আগালে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
এ সময় উপস্থিত অন্যদের মতামত জানতে চেয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা কি সবাই একমত? যারা একমত হাত উঠান। উপস্থিত সবাই হ্যাঁ বলে সম্বোধন করে। সবাই হাত ওঠালে তিনি সবাইকে ‘থ্যাংক ইউ’ বলেন।
নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এখানে পরিশ্রম করছি কিসের জন্য? ভোটের জন্য। কীভাবে আমার বাড়ির কাছে আনতে হবে, টুক করে ভোটের আগের রাত্রি গলির মদ্যি বুলে আসতি হবে, তুই বাড়ির মদ্যিতি নড়বিনে। নড়লি তোর খবর আছে, এবং তুই হচ্চে রাজাকার, তুই হচ্চে জামায়াত।
দেলোয়ার বলেন, ভোট করার কায়দা আছে, অনেক কায়দা আছে। ভোট আগে থাকতি কইরে ফেলতি হবে। স্যান্টারে (কেন্দ্রে) যায়ে ভোট হবে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি আসলে ওইভাবে বলিনি, নির্বাচনের মাঠে অনেক বক্তা ছিলো। এটা আমি বলিনি।
ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে দাবি করে তিনি আরো বলেন, বিরোধী পার্টিরা এটা দিতে পারে, এটা এডিটিং করা, এডিটিং করলেই অনেক কিছু করা সম্ভব। একজনের মাথায় আরেকজনের মাথা লাগানো যায়, একজনের কথা থেকে আরেকজনের কথা জানা যায়। আমি এ ধরনের কোনো কথা বলি নাই। তবে, ভিডিওটি তার হলেও ওই বক্তব্যগুলো তার নয়, সেগুলো পরে সংযোজন করে দেয়া হয়েছে বলে তার দাবী।
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, ভিডিওটি নিয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এ পৌরসভায় মেয়র পদের জন্য লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির, জেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মীর মহিউদ্দিন ও জেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি সবেদ আলী।