শিরোনাম
মিরসরাইয়ে যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল। ছবি: মুক্তমন
এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) : দীর্ঘ ১৭ বছর পর মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় স্থানীয় মিঠাছরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এম আল মামুন।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নুরুল মোস্তফা মানিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোশাররফ হোসেন মান্না, মাহফুজ আলম, নুরুল আবছার সেলিম ও কামরুল হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম রাশেদুল আলম।
প্রধান অতিথি মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘বর্তমান যুবসমাজ মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। ইয়াবা সেবনে আসক্ত হয়ে দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যুবলীগকে মাদকমুক্ত মিরসরাই গঠনে কাজ করতে হবে। মাদকাসক্ত কাউকে পদ দেয়া হবে না। মিরসরাইয়ের মাটি ও জনগণকে ভালোবাসতে হবে। তিনি আরো বলেন, ১/১১ এর সময় আমার পিতা কারাগারে থাকাকালিন অনেকে ষড়যন্ত্র করেছে। তাঁরা মিরসরাইয়ের দায়িত্বে আসলে এখানকার মাটিসহ বিক্রি করে দেবে। দলের মধ্যে এখন জামায়াত-বিএনপির প্রেতাত্মারা ওঁত পেতে বসে আছে। সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বর্তমান সরকার দেশের সর্বত্র ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ করছে। নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন হচ্ছে। যুব সমাজকে রাজনীতির পাশাপাশি চাকুরীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ভাইদের তাদের অপপ্রচার রুখতে হবে।’
প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকলে আজ এতো বিশাল সম্মেলন করা সম্ভব হতো না। এখন এ দেশের গাছের পাতাও আওয়ামী লীগ করে। বিএনপি-জামায়াতের অনেকে দলে ঘাপটি মেরে বসে আসে।
তিনি আরো বলেন, মাদক কারবারি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ কাউকে যুবলীগের পদ দেয়া হবে না। নিজে বাঁচতে হলে দলকে বাঁচাতে হবে, ক্ষমতায় রাখতে হবে, তা নাহলে সবাইকে বঙ্গোপসাগরে চলে যেতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, মিরসরাই পৌরসভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, মুজিবুর রহমান স্বপন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন আলোচনা সভা দিয়ে শেষ হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি-সম্পাদক পদে আগ্রহী ১৭জন প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়। সভাপতি পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদুল হক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোশারফ হোসেন মান্না, মাহফুজুল আলম, নুরুল আবছার সেলিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মাইনুর ইসলাম রানা, ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল কামাল মিটু ও যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম খাঁন। সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এমরান হোসেন সোহেল, ইব্রাহিম খলিল ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-ধর্ম বিষয়ক মেজবা উদ্দিন বাবু, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য রিয়াজ উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেজবাউল করিম সোহেল, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আলা উদ্দিন আলো, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল ইকবাল চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম শহীদ ও শাহরিয়ার সোহেল।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস.এম আল মামুন বলেন, যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত রবিবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত জমা নেওয়া হবে। প্রথম দিন ১৭ জনের জীবন বৃত্তান্ত জমা হয়েছে। প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হবে। মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সাথে পরামর্শ করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করবে।