মুক্তমন ডেস্ক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর দুই দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (৯ জানুয়ারি ২০২১) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয় ।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ নাজমুল হাসান, পিএইচডি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান বলেন, “চলমান কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বিশ্ব আজ সংকটাপন্ন অবস্থা অতিক্রম করছে। এই পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে অভিযোজিত হয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”
বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “২০০৯ সালের বিশ্ব মন্দার তুলনায় চলমান সংকটের প্রভাব আট গুণেরও বেশি।”
অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সেক্টরের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাংকের সেলফিন, এমক্যাশ, আই-ব্যাংকিংসহ অন্যান্য প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবার আরও বেশি প্রসার ঘটানোর পরামর্শ দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, “চলমান সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাতীয়ভাবে ঘোষিত প্রণোদনার সর্বোচ্চ পরিমাণ ইসলামী ব্যাংক বিতরণ করছে।
“এই ব্যাংক অত্যন্ত সচেতনতার সাথে আন্তরিকভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিনিয়োগ সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।”
আর্থিক খাতের প্রযুক্তি ‘ফিনটেক’ ব্যবহার করে সম্ভাব্য সব খাত ও আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ২৩ হাজার কোটি টাকা বেশি।
একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা এবং গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ।
২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য ও রেমিটেন্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৪১ হাজার ৯০৫ কোটি, ২২ হাজার ৪৯৭ কোটি এবং ৪৮ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা।
২০২০ সালে ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স সংগৃহীত হয়েছে। রেমিটেন্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬০ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ৩৭৩টি শাখা, ১৬১টি উপশাখা, ২ হাজার ২৭৫টি এজেন্ট আউটলেট এবং ১৭ হাজার ৫২টি এটিএম-সিআরএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে। বিজ্ঞ্পন ।