মেট্রোরেল চলাচলে দুই দফা বিঘ্ন, ভোগান্তি
মোহাম্মদ জুবায়ের আলমঃ রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মেট্রোরেল চলাচলে দুই দফায় বিঘ্ন ঘটেছে। দ্রুতগতির এই যান উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে যাতায়াতকারীদের কাছে ভরসা হলেও শনিবার পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তি। একাধিক স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ সমস্যা হয়েছিল বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।
সকালে প্রথম দফায় এবং দ্বিতীয় দফায় দুপুরে এ বিঘ্ন ঘটে। দীর্ঘ ভোগান্তির পর মতিঝিল থেকে পল্লবী পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক দুপুরের মধ্যেই। তবে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধান করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় পৌনে সাতটার দিকে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ আমার দেশকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শনিবার দুই দফায় মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সিগন্যাল সিস্টেমে দুটি ট্রান্সফর্মার থেকে পাওয়ার সাপ্লাই হয়। এর মধ্যে একটিতে সমস্যা হয়েছিল। এতেই বিঘ্ন ঘটে মেট্রোরেল চলাচলে।
ডিএমটিসিএলের এমআরটি লাইন-৬ এর উপ প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) আহসান উল্লাহ শরিফী আমার দেশকে জানান, মেট্রোরেলের উত্তরার তিনটি স্টেশন পুরোপুরি ঠিক হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। অন্যান্য স্টেশনেও ব্যাপক ভিড় ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে বেশি সময় দরজা আটকে থাকায় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের পর থেকে ১০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও সোয়া ১টার পর ফের বিঘ্ন ঘটে। ঘণ্টাখানেকের মতো বন্ধ থাকার পর আড়াইটার দিকে মতিঝিল থেকে পল্লবী পর্যন্ত চলাচল শুরু হয়। পরে ২টা ৫০ মিনিট থেকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায়ও সমাধান করা যায়নি।
এমআরটি লাইন-৬-এর একাধিক সূত্র বলছে, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিট থেকে অটোমেটিক ট্রেন সুপারভিশন (এটিএস) ব্যর্থ হওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কয়েকজন যাত্রী ও টিকিট কাউন্টারের একাধিক কর্মী জানান, সকালেও উত্তরা উত্তর স্টেশনে দরজায় সমস্যা হওয়ায় মেট্রোরেলে উঠতে পারেননি যাত্রীরা। পরে দুপুরে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়।
প্রথমে অফিসগামী যাত্রী, পরে অফিস ফেরত যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। সন্ধ্যা পর্যন্ত মতিঝিল থেকে পল্লবী পর্যন্ত সব স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। এমনকি মতিঝিল থেকে প্রচুর যাত্রী ওঠায় পরের স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি। বিপাকে পড়েন বিপুলসংখ্যক যাত্রী। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে।