মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দূষণকারী ৩৮৪ ইটভাটা বন্ধ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় বায়ু ও শব্দ দূষণ, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও সরবরাহ, অবৈধ ইটভাটা, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমনসহ বিভিন্ন দূষণকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কঠোর অভিযান চালিয়েছে। ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সারা দেশে ৫২০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১ হাজার ২৪৫টি মামলা করা হয় এবং ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে ২৪৯টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৩৫টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়, ৩৫টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয় এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয়টি ট্রাকভর্তি সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে ৩৪২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ৬৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১৫৮ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এছাড়া ১১টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাগেরহাট, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ঢাকায় চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আটটি মামলায় ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ চারটি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আরও পাঁচটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই দিনে, ঢাকা মহানগরের আদাবর ও কদমতলী এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। চারটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সতর্ক করা হয়।
এছাড়া, গাজীপুরের নাওজোর ও সালনা হাইওয়ে থানার পৃথক অভিযানে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ২২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। দুটি ট্রাক জব্দসহ দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।