আগামী জুনের মধ্যে পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নতি হবে
অর্থনীতি রিপোর্টারঃ পুঁজিবাজার হচ্ছে দেশের অর্থনীতির ‘আয়না’। দেশের অর্থনীতি ভালো হলে পুঁজিবাজারেও তার প্রতিফলন ঘটবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার, ডলারের দর বৃদ্ধি, ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট, বিনিয়োগ স্থবিরতায় দেশের অর্থনীতিতে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। আগামী জুনের মধ্যে অর্থনীতির এসব সূচকের উন্নতি হবে এবং তখন দেশের পুঁজিবাজারেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
শনিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কৃত্রিমভাবে বাজারকে ধরে রাখার পক্ষে নই। সূচক, লেনদেনের চেয়ে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সংস্কারের মতো বিষয়গুলোর প্রতি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা যদি একটা শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে পারি তাহলে বাজার তার নিজস্ব শক্তিতেই ঘুরে দাঁড়াবে। গত ১৫ বছরে অনেক দেশ এগিয়ে গেছে কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজার সংকুচিত হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের দক্ষতা ও সক্ষমতার অভাবের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে এমনটি হয়েছে। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিএসইর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করি ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে।
দেশের পুঁজিবাজার সাংবাদিকদের সংগঠন সিএমজেএফ কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি গোলাম সামদানি। সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।
মুমিনুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বিরাজমান সমস্যাগুলো গভীর । সংস্কারের মাধ্যমে বাজারকে কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যেতে সময় লাগবে। যে কোন সংস্কারের জন্য মূল্যও দিতে হবে। কিন্তু সংস্কার করতে গিয়ে যাতে অস্তিত্বের সংকটে পড়তে না হয় সেদিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে যদি ব্যর্থ হই তাহলে সবকিছুই বিফলে যাবে।
দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়ন এবং ডিএসইর কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ডিএসইতে দৈনিক আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাজারের বিদ্যমান মার্জিন লোন সমস্যা, ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা, কর সমস্যার সমাধান, বন্ড মার্কেট উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো নিয়ে ডিএসই কাজ করছে বলেও জানান তিনি।