খেলা-বিনোদন

মুক্তি পাওয়া ৭০ ফিলিস্তিনি বন্দি মিসরে পৌঁছেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ৭০ ফিলিস্তিনি বন্দি মিসর পৌঁছেছে। বন্দিবিনিময়ে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত এরা। ইসরায়েল বলেছিল, এদের মিসরের মাধ্যমে কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসিত করা হবে। তার অংশ হিসেবে ওই ৭০ ফিলিস্তিনিকে মিসরে নেয়া হয়েছে।

গতকাল মিসরের আল-কাহেরা নিউজ বলেছে, এসব বন্দিরা ইসরায়েল দ্বারা “নির্বাসিত” ছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলি চার নারী সেনাকে মুক্তি দেয় হামাস। এদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে গাজায় জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। পরে ওই চারজনের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২০০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় নেতানিয়াহু।

মুক্তি পাওয়া ২০০ জনের মধ্যে ১২১ জন ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ইসরায়েলি আদালত একাধিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯৮৬ সাল থেকে ৩৯ বছর ধরে কারাগারে থাকা ব্যক্তিও আছেন।

বিবিসি জানায়, শনিবার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধেক বন্দিকে পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেয়া হবে। গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৭০ জনকে কাতার ও তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসন করা হবে। আর কিছু বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে।

শনিবার দেখা গেছে, ধূসর ট্র্যাকস্যুট পরা কয়েকজন বন্দি রাফাহ সীমান্তের মিসরীয় পাশ দিয়ে দুটি বাস থেকে নামছে। এসব বন্দি বিষয়ক কমিটির প্রধান আমিন শুমান এএফপিকে বলেছেন, মিসরে ট্রানজিট করার পর নির্বাসিত বন্দিরা বসবাসের জন্য ‘আলজেরিয়া, তুরস্ক বা তিউনিসিয়া বেছে নেবে’।

মুক্তি পাওয়া একজন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অবর্ণনীয় অনুভূতি’। এ সময় হাসতে দেখা যায় মুক্তিপ্রাপ্তদের। তারা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button