৮ বছর পর আ. লীগ নেতাকে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ
জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আরো একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ওই মামলায় শ্যেন অ্যারেস্ট দেখানো হয় তাকে।
২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর জামায়াত কর্মী মো. তারেক হাসান ওরফে সজীব হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
বিশেষ ব্যবস্থায় ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে মিন্টুকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে নেওয়া হলে সিআইডির পরিদর্শক কামাল হোসেন জামায়াত কর্মী মো. তারেক হাসান ওরফে সজীব হত্যার ঘটনায় তাকে শ্যেন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন জানান।
আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে। এ সময় মিন্টুর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান। সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক আযম আবেদন না-মঞ্জুর করে মিন্টুকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি জামায়াত কর্মী মো. তারেক হাসান ওরফে সজীবকে জেলা শহরের আলহেরা স্কুলের কাছ থেকে সাদা পোশাকে অপহরণ করে পুলিশ। একই বছরের ২৫ অক্টোবর ভুটিয়ারগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর নিহতের মা মাহফুজা খাতুন বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এতে প্রধান আসামি করা হয় ঝিনাইদহের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, সে সময়কার এএসপি গোপিনাথ কানজিলাল, সদর থানার তৎকালীন ওসি হরেন্দ্র নাথ, ডিবির এসআই এজাজ, সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমিসহ ১০ জনকে। সাইদুল করিম মিন্টুকে এ মামলার ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় সাইদুল করিম মিন্টুকে ২০২৪ সালের ১১ জুন রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আনা হয়। সেই থেকে কারাগারেই আছেন তিনি।
