খেলা-বিনোদন

আমাদের চলচ্চিত্রে এখন বিনিয়োগ সংকট

মুক্তমন ডেক্সঃ প্রায় ২৫ বছর ধরে পাঁচশ’রও বেশি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেতা শিবা শানু। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ভিলেন হিসেবে দর্শকের কাছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে এসেছেন।

বর্তমানে তিনি মনোযোগ দিয়েছেন টেলিভিশন নাটকে। বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এগুলোর মধ্যে ইথুন বাবুর খণ্ড নাটক ‘লিডার আসছে’ এবং ফাইজুল কবির রথির ‘ভালবাসা এমনই’ উল্ল্যেখযোগ্য।

তবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) সদস্য হওয়ায় গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তাকে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়েছে, এমনকি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেলও খাটতে হয়েছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাসের এই সদস্যকে।

সম্প্রতি চলচ্চিত্র ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেতা।

গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কী কী সমস্যা ফেস করতে হয়েছে?

মামলাটামলার সমস্যা তো ছিলই, তখন একটু সেফে থাকতে হতো, সেফে চলতে হতো। এছাড়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম কয়েকবার। সেখানেও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে আমাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে।

সিনেমা করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল কি?

সিনেমা করার ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা হয়েছে। এই যেমন ‘কমান্ডো’ ছবিটার ক্ষেত্রে আমি শ্যুটিংয়ে যাব, ঠিক তার আগ মুহূর্তে ছবির প্রযোজক যিনি মারা গেছেন—সেলিম খান, তিনি বলে বসলেন, প্রশাসনিক কিছু ঝামেলা আছে, তোমাকে নেওয়া যাবে না। অনেকভাবেই চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে জনপ্রিয়তা বলে একটা কথা আছে তো, তাই চাইলেও সবসময় প্রবলেম করতে পারেনি।
চলচ্চিত্রে সংস্কার নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?

‘আমাদের চলচ্চিত্রে এখন ইনভেস্টর সংকট। ইনভেস্টর নেই। এটা খুব জরুরি। ইনভেস্টর যদি আনা না যায় বা বাড়ানো না যায়, তাহলে তো কোনো লাভ হচ্ছে না। আমাদের এখন ইনভেস্টর দরকার। আমাদের নির্মাতা আছেন, অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন, গল্প আছে, কিন্তু যিনি প্রযোজনা করবেন বা ইনভেস্ট করবেন এমন কেউ নেই। কেউ কেউ একটা-দুটা করে আর করছেন না। যদি মার্কেটটা ভালো হয়, সিনেমা হলের অবস্থা ভালো হয়, যদি তিন-চারটা ছবি মার্কেট তৈরি করতে পারে, তখন সংস্কারের দিকে এগোনো যাবে।

আপনি এখন যে-ই দল করছেন—আপনার সরকার যদি ক্ষমতায় আসে, তবে চলচ্চিত্র সংস্কার নিয়ে কী পরিকল্পনা আছে আপনার?

পরিকল্পনা নিয়ে আগেই ভাবছি না। আগে আসুক, আগে হোক, তারপর সুন্দর গোছানো কিছু একটা করা যাবে। এখন তো চাইলেই অনেক কিছু করা যাবে না।

নতুন নায়ক-নায়িকা নিয়ে কাজ করার বিষয়ে আপনার অভিমত কি?

এটা তো একটা চলমান ব্যাপার। আজকেও একজন পরিচালক তার ছবি নিয়ে আলাপ করছিলেন। তাকে বললাম, আপনারা সবচেয়ে ভালো হয় এখন যারা আছেন তাদের ছবি তো দর্শক গ্রহণ করছে না, তাহলে নতুনদের নিয়ে কাজ করেন। সেক্ষেত্রে ভালো হবে নতুনদের নিয়ে যদি ইনভেস্ট করা হয়, যদি তাদের প্রোপার ওয়ার্কশপ করিয়ে ও গ্রুমিং করিয়ে তাদের আনা যায়, সেটা চলচ্চিত্রের জন্য বেটার হবে।

বর্তমানে কী কী কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন?

বর্তমানে আমি একটি একক নাটকের শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। আদিব হাসানের পরিচালনায় ‘বিয়ে’ নাটকটির শ্যুটিং হচ্ছে লঞ্চে। নাটকটি প্রথমে একটি চ্যানেলে পরে ইউটিউবে প্রচার করা হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে মাইদুল রাকীব, উচ্ছ্বাস, এরপর আবার আদিব হাসান ও মাইদুলের নাটকে অভিনয় করব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button