ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
অর্থনৈতিক রিপোর্টারঃ পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাতারাতি বড় হওয়া। অথচ শহরে ভুঁইফোড়, রাতারাতি ধনী হওয়া প্রতিষ্ঠান, নতুন নতুন অগণিত ব্যাংকের টাকা কোথায় জলে গেছে কেউ জানে না।
বুধবার অর্থনৈতিক শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কে এস মুর্শিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বক্তব্য দেন প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ মিথ্যা তথ্যের প্রসঙ্গে বলেন, ৮৬ শতাংশ মনে করে তারা বিনিয়োগ পাচ্ছে না। আফ্রিকার মতো দেশে বিনিয়োগ করেও উদ্যোক্তা তৈরী হয় না, সেখানে বাংলাদেশে অনেক উদ্যোক্তা তৈরী হয়েছে, বিনিয়োগ পায় না। গত সরকারের সময় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে গেছে, কোথায় নিয়ে গেছে তার কোনো খবর নেই।
ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাতারাতি বড় হওয়া।
বেক্সিমকোর উদাহরণ তুলে ধরে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেগুলো অচল হয়ে আছে, তাদের গরীব শ্রমিকরাই আন্দোলন করছে। তাদের মূলধন কিছুই নাই। তাদের শুধু লোন আর লোন। বিশেষ করে আমি বেক্সিমকোর কথা বলছি। তাদের শ্রমিকরা ৩ থেকে ৪ মাস মাঠে আছে। সরকার তাদেরকে অর্থায়ন করছে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো পুঁজিই নেই।
বাংলাদেশের বৈষম্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৈষম্য কোন পর্যায়ে গিয়েছে, এটার নিদারুণ চিত্র হলো- বাংলাদেশে এত উদ্যোক্তা, শহরের চেয়েও গ্রামে বেশি। অথচ তাদের প্রধান সমস্যা হলো সামান্য অর্থায়ন, তারা সেটিও পায় না। অথচ শহরে ভুঁইফোড়, রাতারাতি ধনী হওয়া প্রতিষ্ঠান, নতুন নতুন অগণিত ব্যাংকের টাকা কোথায় জলে গেছে কেউ জানে না।
শিক্ষা খাতের প্রসঙ্গ তুলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এমপিওভুক্ত গরীব শিক্ষকদের নিজেদের সঞ্চয় একটা ফান্ডে থাকে। সরকারের যে প্রতিষ্ঠানের কাছে এ টাকা থাকে, সে প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের সঞ্চয়ের ৬ হাজার কোটি টাকা একটা সম্পূর্ণ দেউলিয়া ব্যাংকে রেখেছে। যে ব্যাংকের কিছুই নাই। এ টাকা এখন কোথায় পাওয়া যাবে।
পরিসংখ্যান আইন তৈরী করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন পরিসংখ্যান আইন তৈরী করছি। এটি করা বিবিএসের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য।