সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে বাধা কাটছে
অর্থনৈতিক রিপোর্টারঃ সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছে সরকার। তাই প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর সুগন্ধি চালের কারণে অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানিও বাধাগ্রস্ত হয়। তারপর থেকে রপ্তানি আয় বাড়াতে দেশের ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।
তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর চার লাখ টন সুগন্ধি চালের চাহিদা আছে কিন্তু উৎপাদন হয় এর বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের ৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ হাজার ৪১৬ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
এক বছরের বেশি সময় ধরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ। অভিযোগ আছে, নানা উপায়ে মিথ্যা ঘোষণা ও চোরাচালানের মাধ্যমে সুগন্ধি চাল আশপাশের দেশে পাচার হয়। সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় চলে যায়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুগন্ধি চাল আবার রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে সুপারিশ করে। তখন সুগন্ধি চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সুপারিশ করা হয়।