“নোয়াখালীতে মাজার ভাঙ্গার মামলায় যুবদল নেতাসহ ৭জন কারাগারে”
প্রকাশ : ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১২ এম
নোয়াখালী সদর উপজেলায় মাজার ভাঙ্গা মামলায় ৪৪ জন আসামির মধ্যে ৭ জন কারাগারে,
তাদের আদালত থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করলেন আদালত।
জানা যায় গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫:০০ ঘটিকার সময় নোয়াখালী সদর উপজেলার ০৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের শাহ্সূফী আইুব আলী দরবেশের মাজারে হামলা করা হয়,গুড়িয়ে দেওয়া হয় কবরসহ পুরো স্থাপনা, এসময় ১০জন আহত হয়।।
ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় মাজারে।
এসময় ব্যাপক হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে তৌহিদী জনতার ব্যানারে একদল লোক এ হামলা ভাঙচুর চালায়। এসময় ওরশের প্যান্ডেলসহ পুরো মাজার ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলায় নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে মাজার ভক্তরা জানিয়েছে।
এ সময় মাজারপন্থিদের সাথে ব্যাপক দস্তাদস্তি হয়।
খবর পেয়ে নোয়াখালী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), সুধারাম থানা-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বিএনপি এবং জামায়তের নেতাকর্মী বলে খোঁজ পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (৩৬) ইউনিয়ন যুবদল নেতা, মাওলানা আবু নোমান,ক্বারী আবুল কালাম,মাওলানা হাম্মাদুর রহমান,মোহাম্মদ তারেক,মোহাম্মদ শাহজাহান।
স্থানীয় মাজার পন্থিদের মামলায় তাদের আটক করে পুলিশ।।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কালাদরাপ ইউনিয়নের মুন্সির তালুক গ্রামের শাহ্সূফী আইুব আলী দরবেশের মাজারে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী ৫৭তম ওরশ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল।
মাজারপন্থিদের অভিযোগ প্রতিবছরেরে ন্যায় এ বছর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বার্ষিক ওরশ শরীফ আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।
একইদিন বিকেলে মাজারের পাশে সোলেমান মার্কেট এলাকায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে ওয়াজ মাহফিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ নিয়ে সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। বিকাল ৩টার দিকে তৌহিদী জনতার ব্যানারে শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় নারীসহ অন্তত ১০ জন মাজারভক্ত আহত হন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সুধারাম থানা–পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার শাহ নেওয়াজ তানভীর বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌঁছার আগেই মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই পক্ষের সাথে কথা বলে এলাকায় শান্তি–শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কাজ করছে প্রশাসন।’
সুধারাম মডের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে
এদিকে এই গ্রেফতার এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী অবিলম্বে তাদের মুক্তি চান