জাতীয়

দীর্ঘ ৬ বছর পর খুলেছে ক্লাবপাড়া চলছে জুয়ার রমরমা আসর নিস্ব হাজারও মানুষের পরিবার

মোহাম্মদ জুবায়ের আলমঃ রাজধানীর মতিঝিল ক্লাবপাড়া আবারো সচল হতে শুরু করেছে। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে ক্যাসিনোকাণ্ডে ওই এলাকার ছয়টি ক্লাব একসাথে সিলগালা করে দেয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তখনকার সময় থেকে বন্ধই ছিল ক্লাবগুলো। তবে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্লাবগুলো আবারও সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রায় ছয় বছর পর মতিঝিলের বন্ধ ক্লাবগুলো খুললেও এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। খোলা ক্লাবগুলোতে এখনো কোনো টুর্নামেন্ট বা খেলার আসর বসেনি। তবে চলছে আড্ডাবাজি ও নানা কার্যক্রম। এর আড়ালে রমরমা জুয়ার আসর চলছে। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পারে মুক্তমন পত্রিকার অপরাধ অনুসন্ধানী টিম, এসব জুয়ার মূল হোতা বা পরিচালকরা সবাই বিগত স্বৈরাচার আমলের দোষর, এদের মধ্যে প্রধান হলেন হিরন, যিনি নাকি ইসমাইল হোসন সম্রাটের ছোট ভাই পরিচয় দানকারী। এবং তাঁতীলীগ যাত্রাবাড়ী থানার সহ-সভাপতি। যাত্রাবাড়ী তাঁতিলীগ অফিসে ও সে জুয়া ও মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করেছে। অপর একজনের নাম এসেছে আলী মিয়া, যিনি নাকি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের কথিত শ্বশুর। এচাড়াও রয়েছে জসু, নজরুল, আনোয়ার, বেনুসহ আরও ১০/১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। এরা আরামবাগ এলাকার কিছু স্বার্থন্বেশী লোকজনের সাথে নিজেদের মতো কমিটিও গঠন করেছেন। যদিও সেসব কমিটি এখনো অনুমোদন দেয়নি ক্রীড়া অধিদফতর। তারপরও পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে চারটিতে এখন রাত-দিন এসির মধ্যে জুয়ার আসর চলছে। তাতে অংশ নিচ্ছেন মতিঝিল ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার লোকজন।জুয়ার নেশায় নিস্ব হয়েছেন অনেক পরিবার। দিলকুশা, আরামবাগ, ভিক্টোরিয়া, মোহামেডান ও ফকিরাপুল স্পোর্টিং ক্লাবে এখন দিন-রাত বসছে জুয়ার আসর। ক্লাবগুলোর নির্দিষ্ট কিছু কক্ষে এসি লাগানো হয়েছে। সেই এসিতে বসে।।
আরামে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেনজুয়ারিরা। কার্ড (জুয়া) ছাড়া কোনো খেলাধুলার দৃশ্য চোখে পড়েনি। এ বিষয়ে ডিএমপর মতিঝিল বিভাগের ডিসি বলেন, ক্লাবগুলো খুলেছে জানি না। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে জানাতে পারব। একই কথা জানান মতিঝিল থানার ওসি। তবে তিনি বিষয়টির ব্যাপারে আজই খোঁজ নেবেন বলে জানান।এ বিষয়ে পরবর্তী পর্বে ভিডিও ফুটেজ সহকারে আমরা সম্প্রচার করব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button