নোয়াখালীতে সাবেক সেনাপ্রধানের বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলিপুর গ্রামে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় জেনারেল (অব.) আকবরের ছোট ভাই চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় হেলমেট পরা শতাধিক তরুণ সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা সাবেক সেনাপ্রধানের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদের বাড়িতেও হামলা ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে ড্রইংরুমে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। প্রায় একই সময় চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। আক্তার হোসেন ফয়সাল সাবেক সেনা কর্মকর্তা আকবরের ছোট ভাই। মঈন ইউ আহমেদ ও আক্তার হোসেন ফয়সালের বাড়ি আলিপুর গ্রামে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, হামলাকারীরা হেলমেট ও মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলাকালে বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরণ এবং চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সাল গ্রুপের মধ্যে বিভিন্ন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ সংবাদ সম্মেলন করে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার ঘটনায় আক্তার হোসেন ফয়সালকে দায়ী করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এই হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে তাদের সংগঠনের সম্পৃক্ততা নেই। চৌমুহনীর ঘটনাটি সেখানকার রাজনৈতিক। এর সঙ্গে ছাত্রদের কোন সম্পর্ক নেই।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান “আমার দেশ”-কে বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ ও তার ছোট ভাই মিনহাজ আহমেদ জাবেদের বাড়িতে একদল লোক সন্ধ্যার পর হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই সময় তাদের ভবনে কেউ ছিল না। এর কিছুক্ষণ পর চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের বাড়িতেও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।