জাতীয়

বেক্সিমকো বন্ধকি শেয়ার বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টারঃ বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের বন্ধক রাখা শেয়ার বিক্রি করে বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৬ কোম্পানির কর্মীদের দেনা-পাওনা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নিবে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

মঙ্গলবার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সাখাওয়াত হোসেন।

সচিবালয়ে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কর্মীদের বেতন ও অন্য পাওনা বাবদ ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লাগতে পারে। সেটি এই শেয়ার বিক্রি করে তোলা হবে। বেক্সিমকোর টেক্সটাইল এন্ড অ্যাপারেল খাতের ১৬ কোম্পানি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা কীভাবে ঋণ নিয়েছে তার তদন্ত করা হবে। এই তদন্তও ফেব্রুয়ারিতে শেষ করা হবে। এইসব ঋণে অনিয়ম হয়ে থাকলে তার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পাশাপাশি বেক্সিমকো লিমিটেডে নিয়োগ করা রিসিভারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এই উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেননি অথবা কোনো গুরুত্ব দেননি।’

তিনি জানান, বেক্সিমকো লিমিটেডের নামে সোনালি ব্যাংকে ১,৪২৪ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪২০ কোটি, রূপালী ব্যাংকে ৯৮৭ কোটি, জনতা ব্যাংকে ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকে ৩১৫ কোটি, ইউসিবি ব্যাংকের ৩৩৩ কোটি, এবি ব্যাংককে ৯৩৮ কোটি, এক্সিম ব্যাংকে ৪৯৭ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে ৬১ কোটি, ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৯৪ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকের ৭৮ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফএফএলে ৮৭ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী রোববার সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, অর্থ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সভা করে বেক্সিমকো ফার্মা এবং সাইনপুকুর সিরামিক্সের বন্ধককৃত শেয়ার বিক্রির ব্যবস্থা করবে। অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অর্থ বিভাগ থেকে আমরা যে টাকাটা পাব শ্রমিকদের গ্রাচুয়িটি সার্ভিস বেনিফিটসহ আইনে যা যা আছে তা পরিশোধ করা হবে। বেক্সিমকোর দুএকটি প্রতিষ্ঠান চালু আছে সেগুলো পরে বিক্রি করা যায় কিনা অন্যরা তা দেখবে। বেক্সিমকো পার্কে অবস্থিত কারখানাগুলোকে নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ এ নিয়ে আর কোনো বৈঠক করবে না বলে জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button