ভোলায় সিএনজি ও বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত ৩০
জেলা প্রতিনিধি, ভোলাঃ ভোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিএনজি ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। পুড়ে গেছে ৫টি সিএনজি ও ১টি বাস। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩০টি সিএনজি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোলা বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সিএনজি ও বাস মালিকদের মধ্যে সিএনজি চলাচল এবং স্ট্যান্ড নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থেকে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ দিয়ে শুরু হলেও পরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বাস শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিকরা।
আহতদের মধ্যে সাংবাদিক টিপু সুলতান, গিয়াস উদ্দিন(৩৫) সালাউদ্দিন (৩৫), নুরুল আমিন (৬৫), রাকিব (২৮), সুমন (২২), সোহেল (৩৫) নাম পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা জানান, পৌরসভার নির্দেশ অনুযায়ী সিএনজি মালিকদের আমরা স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি সরিয়ে নিতে বলেছি। এ কারণে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে সিএনজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, মো. হারুন বলেন, এ ঘটনা বাস মালিক সমিতির পরিকল্পিত, আগে বাস সরিয়ে নিয়ে আমাদের সিএনজিতে তারা আগুন দিয়ে দেয়। আমরা সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস খবর দেওয়ার পরেও তারা গেট বন্ধ করে দেয়।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সরকার বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কতজন হতাহত হয়েছে আমরা এখনও জানতে পারিনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভোলা জেলার প্রশাসক মো. আজাদ জাহান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফুল হক।