রাষ্ট্র বিনির্মাণে অনলাইন মিডিয়ার ভূমিকা অপ্রতিম
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরেছিল। গণমাধ্যম কর্মীরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারেনি। সাগর রুনির মতো অসংখ্য সাংবাদিককে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগ। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন – বোমা আয়োজিত বার্ষিক ফ্যামিলি ডে ২০২৫ উপলক্ষে শনিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ‘মাওয়া খানবাড়ি রিসোর্টে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম নিবন্ধন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নানা তালবাহানা করেছে। যেসব অনলাইন গণমাধ্যমের মালিক অথবা সম্পাদক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শুধু তাদের পত্রিকার নিবন্ধন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে যেসব গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদেরকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের এ আচরণ জাতি আজীবন ঘৃণাভরে স্মরণ রাখবে। আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে টেলিফোন করে সেই সংবাদ সরিয়ে দিতে বাধ্য করা হতো। গত সাড়ে ১৫ বছর রাজনৈতিক নেতাকর্মীরদের মতোই গণমাধ্যম কর্মীদের জুলুম নিপীড়ন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করে বিএনপি দেশের মানুষের সব ধরনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বলেও আশ্বস্ত করেন বিএনপির এই নেতা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল আলম বাবুল বলেন, আমরা আশা করব আপনাদের এই অনলাইন মিডিয়া সেক্টর বিগত সরকারের সময় যেভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, আপনাদের লেখার অধিকার, বলার অধিকারকে অপহরণ করা হয়েছে হয়েছিল। গণতন্ত্রের গলা যেভাবে চেপে ধরা হয়েছিল! সেটা ছিল দুঃখজনক, রাজনীতির সাথে যেহেতু ছিলাম কথা বলতে পারি নাই, কথা বলতে গেলেই মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি জেলজুলুম আমাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হাসিনা সরকারকে শুধু ক্ষমতা ছেড়ে দিতেই হয়নি এমন ভাবে বিদায় নিতে হয়েছে তার বাংলার মাটিতে থাকার কোন সুযোগ নাই। এবং এই সে ভালো করে জানে বাংলাদেশে তার শাসন আমলে সে এমন সব কৃতি করেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে আবার দেশে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে গুম করে পালিয়ে গেছে। আমাদের রাজনীতিবিদ নয় সাংবাদিক ভাইদের সঙ্গে যারা সংবাদপত্রের সাথে জড়িত তাদের উপরও কি রকম নির্মম নির্যাতন সেটা আপনারা ভালো করে জানেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যমের এমন পরিস্থিতি আর সৃষ্টি হবেনা। অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত স্বপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী স্বপু, অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কামাল হোসেন, নির্বাহী সভাপতি মীর আব্দুল আলিম, সহ সভাপতি রাসিদুল হাসান বুলবুল, সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সালেহ মোঃ রশিদ অলক, ফ্যামিলি ডে উদযাপন কমিটির আহবায়ক খান নজরুল ইসলাম হান্নান, জিএম হাফিজুর রহমান, সাব্বির আহমেদ রনি, শামসাদ আনহার, লায়ন আখতারুজ্জামান, আব্দুস সালাম শান্ত।
বোমা ফ্যামিলি’ডে ২০২৫ইং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন খেলাধুলা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।