জাতীয়

শিশু শ্রম নিরসনে সরকার বদ্ধপরিকর: শ্রম উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টারঃ অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা যায়। তাছাড়া গ্রাম-গঞ্জে ইটভাটাসহ বিভিন্ন সেক্টরে শিশু শ্রম বেশি পরিলক্ষিত হয়। যা কখনো কাম্য নয়। বর্তমান সরকার সকল সেক্টরে শিশু শ্রম নিরসনে বদ্ধপরিকর।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্রম ভবনে ‘জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ’র ১২তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

উপদেষ্টা আরও বলেন, এ অবস্থার পরিবর্তনে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শিশুশ্রম কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি পুরো বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও সংগঠনকে নিজ নিজ দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে কার্যক্রমগুলো নির্দিষ্ট করতে হবে। জাতীয় কমিটির মাধ্যমে ঠিক করবো, কোন সংস্থা কীভাবে কাজ করবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি এনজিওগুলোও তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করবে। শিশু শ্রম নিরসনে কর্মশালা আয়োজন করে কমিটির কার্যপরিধি চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আইএলও কনভেনশন-১৩৮ এ শিশুশ্রম বন্ধ সম্পর্কে বলা আছে। আমরা আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করছি।’

১২তম সভায় এ সংশ্লিষ্ট সদস্যরা পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরণী বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, শিশুশ্রম নিরসনে বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম বিষয়ক উপস্থাপনা, শিশুশ্রম নিরসনে বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটির কার্যক্রম সংক্রান্ত আলোচনা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শিশুশ্রম নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপ এবং শিশুশ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আইএলও’র প্রতিনিধি, বিজিএমইএ, মানবাধিকার কমিশন, ইউনিসেফ, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ইমপ্লোয়ার্স ফাউন্ডেশন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, অপরাজেয় বাংলাদেশ, শাপলা নীড়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, জাতীয় শ্রমিক দল, সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গার্মেন্টস সংহতি ফেডারেশন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, শিশুপল্লি নিবাস, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, কারিতাস বাংলাদেশ এবং গ্রাম বাংলা’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button