জাতীয়

হবিগঞ্জে জামায়াত নেতার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

উপজেলা প্রতিনিধি, বাহুবল (হবিগঞ্জ) হবিগঞ্জের বাহুবলে জামায়াত নেতার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে তার নির্মাণাধীণ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের নাম মিনারা খাতুন (৩৫)। তিনি সাবেক উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি ও বর্তমান উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আবদুল আহাদ ইবনে মালেকের স্ত্রী। মিনারা স্থানীয় মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা ও মহিলা জামায়াতের রুকন (সদস্য) ছিলেন।

জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় সাত মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন মিনারা। নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। আর আবদুল আহাদ বাজারে ছিলেন। সেখানে মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তাদের বসতঘরের দরজা খোলা, তবে বাতি নিভানো। মেঝেতে কাঁদছিল শিশুপুত্র। পরিস্থিতি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তড়িঘরি ঘরে গিয়ে স্ত্রীর লাশ দেখে চিৎকার দেন আবদুল আহাদ। আশপাশের লোকজন এসে মিনারাকে মৃত অবস্থায় পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

আবদুল আহাদ বলেন, ‘মিরপুর বাজারে মাগরিবের নামাজ শেষে সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি ফিরে মিনারার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পাই। আশপাশে কাউকে পাওয়া যায়নি। মরদেহের পাশ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার এমএন সাজেদুর রহমান, বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম ও বাহুবল মডেল থানা ওসি জাহিদুল ইসলাম এবং হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মখলিছুর রহমান, নায়েবে আমির মাওলানা আশরাফ আলী ও সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী প্রমুখ। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পুলিশ সুপার সাজেদুর সাংবাদিকদের বলেন, মিনারার পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button