হাকালুকি হাওর প্রান্তে পৌর ভাগাড় পরিবেশের জন্য হুমকি

উপজেলা প্রতিনিধি, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া পৌরসভার প্রায় ৯ ওয়ার্ডের বাসাবাড়ি,কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি ক্লিনিকের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মৌলভীবাজার থেকে বিয়ানীবাজার প্রধান সড়কের পাশে। এতে সড়কের পাশে সৃষ্টি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিশেষ করে সড়কে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী ও আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন অধিক ঝুঁকিতে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের কারণ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বারবার আবেদন করলেও এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি বাসা থেকে মাসিক ১০০ টাকা করে আদায় করছেন বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজে নিয়োজিত কুলাউড়া পৌরসভার লোকজন। ট্যাক্স পরিশোধের পরও বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য বাড়তি টাকা আদায় করা হলেও এটা কোনা সুফল বয়ে আনছে না। তারা মনে করছেন ভাগাড় থেকে আবর্জনা পরিষ্কারের সময় পৌরসভার আবার বাড়তি খরচ হবে যা জনগণের টাকা থেকেই পরিশোধ হবে। এতে করে ট্যাক্সের টাকা, বর্জ্য পরিবহনের চাঁদা ও ভাগাড় থেকে বর্জ্য পরিষ্কারের খরচ মিলিয়ে তিনবার টাকা খরচ হচ্ছে জনগণের।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে বর্জ্যের ভাগাড়। বর্জ্যের বেশির ভাগই হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বর্জ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্জ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত এক ব্যক্তি বলেন, প্রায়ই আমাদের পা সিরিঞ্জের আঘাতে কেটে যায়। হাসপাতালের বর্জ্যের কারণে ময়লা আনলোড করতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয়।
বিশেষ করে ভাগাড়টি হাকালুকি হাওরের একটি প্রান্তিক অঞ্চলের পাশে অবস্থিত। এখান থেকে হাকালুকি হাওরের একাংশের দূরত্ব দেড় থেকে দুই কিলোমিটার। পুরোপুরি খোলা এই ভাগাড়টি থেকে সহজেই কেমিক্যাল বর্জ্য ও অপরিশোধিত বর্জ্যগুলো বর্ষা মৌসুমে হাকালুকি হাওরের মাছ ও জলজ প্রাণীর মারাত্মক প্রাণ প্রাণনাশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরজমিনে আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, এই ভাগাড়ের পাশে আবর্জনা বেষ্টিত স্থানে গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে আছে কুলাউড়া পৌরসভার স্বাগতম ফলক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় খামখেয়ালি পাশাপাশি কুলাউড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষের স্বাগতম ফলকের বিষয়টি আরো খামখেয়ালি সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে।