হাজীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
উপজেলা প্রতিনিধি, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মো. সেলিম হোসেন (৪৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে উঠেছে। শুক্রবার উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের গৌড়েশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. আবুল কালাম কালুর ছেলে। একই গ্রামের কাজী বাড়ির আকবর হোসেন কাজী (৬০) সহ তাদের পরিবারের লোকজন বিরুদ্ধে সেলিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন ফারুক।
নিহত সেলিমের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানের চারা রোপনের সময় কবিরাজ বাড়ির জাহাঙ্গীরের সাথে একই গ্রামের কাজী বাড়ির আজিজ কাজীর সাথে বিবাদের এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সন্ধ্যায় আজিজের বড় ভাই চাঁন মিয়ার সাথে জাহাঙ্গীরের ভাতিজা ও সেলিমের ছেলের সাথে মারামারি হয়। বিষয়টি জানার পর ইউপি সদস্য সমাধানের উদ্যোগ নেন।
এরপর শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয় মসজিদ মাঠে জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই সেলিমকে পিটিয়ে আহত করেন আজিজ কাজীর চাচা আকবর কাজীসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য লোকজন। এসময় স্থানীয়রা ও সেলিমের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেলিমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেররন করেন এবং সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নিহত সেলিমের ছোট ভাই ও ইউনিয়ন মৎস্যজীবি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নবীর জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ভাই সেলিমকে পরিকল্পিতভাবে আকবার কাজী ও আজিজ কাজীসহ তাদের পরিবারের সকল সদস্য ও ভাড়া-করা লোকজনকে নিয়ে অতর্কিত হামলার পর পিটিয়ে হত্যা করে। অথচ ওই তুচ্ছ ঘটনার সাথে তার ভাই সেলিম জড়িত ছিলেন না বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সেলিম হোসেনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করার পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।