আমরা গরীব ছিলাম না, ধারাবাহিক ভাবে আমাদের গরীব বানানো হচ্ছে !
“ আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ। ” বিল গেটস ঠিক বলে ছিল l আমাদের ক্ষেত্রে কিন্তু উল্টোটা হচ্ছে l বিত্তবান বাংলাকে বিত্তহীন করার চেষ্টা চলছে l এখন কাজ করার পালা, কম তো ছিল না আমাদের, পাশার গুটি উল্টে দিতে হবে।
একটু ফ্ল্যাশব্যাক—
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময় (খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৪, মতান্তরে ৩১৭) বাংলাদেশে এক উন্নত রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় l কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র এর সুস্পষ্ট প্রমান। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে আরও জানা যায়, পু-ক (উত্তরবঙ্গ) ও ত্রিপুরায় (কুমিল্লা) হীরার খনি ছিল। অর্থশাস্ত্রে গৌড়িক স্বর্ণের উল্লেখ আছে।
উত্তরবঙ্গে একবার দুর্ভিক্ষ হলে মৌর্য সম্রাটের আদেশে মহামাতা রাজকোষ থেকে অর্থ ও রাজভা-ার থেকে শস্য দেন।
খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে বাংলার মসলিন গ্রিসে অতি প্রিয় হয়ে ওঠে।
১ম খ্রিষ্টাব্দে এক অজ্ঞাতনামা গ্রীক নাবিকের Periplus of the Erythrean Sea’ বই এর মধ্যে গেনজেটিক বা গঙ্গাজলী (এক প্রকার মসলিন) শাড়ির কথা রয়েছে। এই বই থেকে আরো জানা যায়, প্রাচীন ব্যাবিলনের একটি বস্ত্র তালিকায় মসলিনের উল্লেখ আছে।
বাংলার মসলিন রোমান ললনাদেরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করত।
১ম খ্রিষ্টপূর্বে রোমান মহাকবি ভার্জিল জর্জিকাস কাব্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, তিনি জন্মভূমি মন্টুয়াতে ফিরে গিয়ে একটি মর্মর মন্দির স্থাপন করবেন এবং মন্দিরের শীর্ষদেশে স্বর্ণ ও গজদন্তে গঙ্গারিড বা প্রাচীন বাঙালিদের বীরত্বের কথা খোদিত করবেন।
দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দে ইতিহাসবেত্তা টলেমি বলেছেন, গঙ্গে বন্দরের কাছে ছিল সোনার খনি। ‘নি¤œবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিমে সুবর্ণরেখা নদী, ঢাকা আর ফরিদপুরের সোনারং, সোনারগাঁও, সুবর্ণবীথি, সোনারপুর প্রভৃতি নামের সঙ্গে সোনার ইতিহাস সম্ভবত জড়িত। এই সব জনপদের নদীগুলোতে প্রাচীনকালে বোধহয় গুঁড়া গুঁড়া সোনা পাওয়া যেত।