অর্থ-বাণিজ্য

সিন্ডিকেট ভাঙতে ‘জনতার বাজার’ স্থাপনের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স নিয়মিত কাজ করেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে দেখা গেছে কৃষকের উৎপাদিত খাদ্যশস্য মধ্যস্বত্ব ভোগিদের মাধ্যমে কয়েক ধাপে হাত বদলের পর পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। এসব কারণে মনোপলি সিন্ডিকিটের হাতে চলে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যের ‘জনতার বাজার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা জেলা প্রশাসক।

শনিবার সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজধনীর কামরাঙ্গীরচর কুড়ার ঘাটে দ্বিতীয় ‘জনতার বাজার’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা এসব কথা বলেন ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে সব জায়গায় নানা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এগুলো কোনভাবেই র্নিমূল করা যাচ্ছে না। কিন্তু আমরা যে জনতার বাজার চালু করতে যাচ্ছি তা মনোপলি সিন্ডিকেটের উর্ধ্বে থাকবে। এখানে সরকারের কোন লাভ-ক্ষতি থাকবে না। ন্যায্য দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কাছে পৌঁছে দয়া হবে। সেই লক্ষ্যে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য একটা টিম গঠন করা হবে। সেই বাজার থেকে মানুষ সরাসরি পণ্য কিনতে পারবেন। ভোগান্তি কমাতে একটি সফটওয়্যার নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে সারা দেশের পণ্যের দামসহ সবসময় এটি আপডেট থাকবে। ক্রেতারা বারকোড দিয়ে পণ্য কিনতে পারবেন। লাইন ধরতে হবে না। এই বাজারটি একটি স্মার্ট বাজার হবে।

তিনি আরও বলেন, জনতার বাজার আপনাদের বাজার। দলমত নির্বিশেষে সকলের উর্ধ্বে এটি। বাজারের মূল্য ও ব্যবস্থাপনায় কোন সমস্যা থাকলে ক্রেতারা অভিযোগ বক্সে অভিযোগ করতে পারবেন। এছাড়া বাজারেও একটি অভিযোগ বক্স থাকবে।

ঢাকা জেলা প্রশাসক বলেন, শহরের যেখানে নিম্ন আয়ের জনবহুল এলাকা রয়েছে আমরা সেখানেই এ বাজার স্থাপনের চেষ্টা করছি। অন্যান্য বাজারকে আমরা ধ্বংস করতে চাই না। তবে এখানে দাম কম থাকলে অন্যরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধির করার সাহস পাবে না।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ইতোমধ্যে মোহাম্মদপুরের বসিলায় একটি জনতার বাজার নির্মাণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীতে মোট ছয়টি বাজার স্থাপন করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকতা মো. শফিকুর রহমান, ঢাকা জেলার কৃষি কর্মকর্তা মুশফিক সুলতানা, ঢাকার ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তা ফাহমিনা আক্তার সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন, ছাত্র প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয়রা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button