মিরাজের ব্যাটে প্লে-অফে খুলনা, বিদায় রাজশাহীর
প্লে-অফ নিশ্চিত করতে হলে জয়ের কোনো বিকল্পই ছিল না খুলনা টাইগার্সের সামনে। এমন সমীকরণে জ্বলে উঠলেন দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। তাতেই দারুণ এক জয় পায় দলটি। একই সঙ্গে শেষ চারও নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রুপ পর্বের শেষ দিনের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রান করে ঢাকা। জবাবে ১৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে মিরাজের দল। বিদায় নেয় দুর্বার রাজশাহী।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হলো খুলনার। তবে সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ছিল রাজশাহীরও। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে থাকায় প্লে-অফে জায়গা পায় খুলনাই। একই সঙ্গে প্লে-অফের চারটি দলও নিশ্চিত হয় খুলনার জয়ে। তবে দিনের শেষ ম্যাচে নির্ধারিত হবে কারা খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং কারা খেলবে এলিমিনেটর রাউন্ড।
লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না খুলনার। প্রথম দুই ব্যাটারই ফিরে যান খালি হাতে। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ, যিনি আগেওর ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন, তাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর আফিফ হোসেনকেও ছাঁটাই করেন কাটার মাস্টার।
এরপর আলেক্স রসের সঙ্গে ৪৩ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। আর উইলিয়াম বোসিস্টোর সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় খুলনা। এরপর মোহাম্মাদ নাওয়াজকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন অধিনায়ক।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। ৫৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায়। রস ২২ এবং বোসিস্টো ১৮ রান করেন। ঢাকার পক্ষে ১৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ।
তবে এদিন টস জিতে এগে ব্যাটিং বেছে নেয় ঢাকা। ওপেনার তানজিদ হাসান ছাড়া আর কেউই তেমন দায়িত্ব নিতে না পারায় সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে। এক প্রান্ত আগলে লিটন দাস, হাবিবুর রহমান সোহান ও ফারমানউল্লাহ আলীর সঙ্গে যথাক্রমে ২৯, ২৪ ও ২৮ রানের তিনটি জুটি গড়েন তানজিদ।
মূলত তানজিদের ব্যাটে ১২ ওভারেই ২ উইকেটে ৮১ রান তুলেছিল ঢাকা। কিন্তু এই ওপেনারের বিদায়ের পর ধস নামে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপে। আর কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি। স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করতে সাতটি উইকেট হারায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ। ৩৭ বলের ইনিংস ছক্কা মেরেছেন ৭টি। সঙ্গে রয়েছে একটি চারের মার। সাব্বির রহমান করেন ২০ রান। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মেহেদী হাসান রানা (১৩) এবং লিটন (১০)। খুলনার পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও উইলিয়াম বোসিস্টো।