বিশ্ব

দীর্ঘ ৯ মাস পর খুলল গাজার রাফা সীমান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজায় ১৫ মাসব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরাইল। এ সময় পুরো ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় উত্তর গাজা। ভেঙে পড়ে এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ইসরাইলের আগ্রাসন শুরুর পর দীর্ঘ ৯ মাস ধরে বন্ধ ছিল মিসর-রাফা সীমান্ত। দ্বিতীয় দফায় গাজা-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ১৯ জানুয়ারি। হাসপাতাল ধ্বংস হওয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও বহু আহত মানুষকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শনিবার ৩৪ শিশুসহ ৫০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসরে স্থানান্তর করা হয়। এদের সঙ্গে রয়েছে তাদের পরিচর্যাকারী।

২০২৪ সালের মে মাসের পর প্রথমবারের মতো রাফা সীমান্ত দিয়ে স্থানান্তর কার্যক্রম পুনরায় শুরু হলো। মিসরের টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, একটি ফিলিস্তিনি রেড ক্রস অ্যাম্বুলেন্স সীমান্ত গেটের সামনে এসে থামে। এরপর কয়েকটি আহত শিশুকে স্ট্রেচারে করে বের করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সটি মিসরে চলে যায়।

অনেক রোগী ক্যানসারসহ দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন এবং ইসরায়েলের ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের সময় চিকিৎসা নিতে পারেননি। ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মোট ৪০০ ফিলিস্তিনিকে গাজা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খুলে দেওয়াকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে আরো শক্তিশালী করেছে। গাজায় আটক শেষ জীবিত নারী জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরাইল রাফা ক্রসিং পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়।

শনিবার হামাস ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দেওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংটিও খুলে দেওয়া হয়। হামাস ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেৃশন বলছে, যথাযথ চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন গাজায় বহু মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। সীমান্ত খুলে দিয়ে মানবিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সংস্থাটি।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাঝে পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই হামলায় কিশোরসহ পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুজন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button