সংস্কার প্রস্তাবে আলোচনা দীর্ঘায়িত হলে সংকট বাড়বে
স্টাফ রিপোর্টারঃ সংস্কার প্রস্তাবের আলাপ-আলোচনা যতবেশি দীর্ঘায়িত হবে দেশ ততবেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি দেরি হয়, সংস্কার সংস্কার করে আমরা সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি তাহলে স্বৈরাচারের দোসরা সংকট সৃষ্টি চেষ্টা করবে। ৫ আগষ্ট যেই স্বৈরাচারকে দল-মত নির্বিশেষে, সকল মানুষ একত্রিত হয়ে এদেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে তারা সংকটের সুযোগ নিয়ে আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে।
সংস্কারের কথা বলে আলোচনা দীর্ঘ না করার অনুরোধ জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, যেসকল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ, সন্মান্বিত ব্যক্তিবর্গ যারা সংস্কারের কথা বলছেন আপনাদের সকলের কাছে রাজনৈতিক দলের অবস্থান থেকে আপনাদের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সংস্কার সংস্কার বক্তব্য রেখে এই আলাপ দয়া করে দীর্ঘায়িত করবেন না। কারণ আপনারা সংস্কারের আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন দেশ ততবেশি সংকটের মুখে পড়বে, আপনারা সংস্কার আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন দেশে তত ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে।
নির্বাচন ছাড়া কোনো ভিন্ন পথ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে সবার আগে নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে সংস্কারের কাজ তারাই শুরু করতে পারবে। সংস্কারের কাজ যদি শুরু করতে হয় সেটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত মানুষের মাধ্যমেই বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। কারণ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা জনগণের কাছে ওয়াদা করবে যে, তারা সুযোগ পেলে বাস্তবায়ন করবে এই সব সংস্কার। সংস্কারকে যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে দেশকে দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব।
তারেক রহমান বলেন, সংস্কারকে বাস্তবায়ন করতে হলে উপায় একটা-যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে সে সংস্কার প্রস্তাব অন্তবর্তী সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হয় নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। একটি পথ জনগণের নির্বাচন, জনগণের নির্বাচনের নির্বাচন এবং জনগণের নির্বাচন।
নির্বাচন হলে জগণনের সমস্যার সমাধান তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। এটা সকলকে অনুধাবন করতে হবে। কোনো কোনো ব্যক্তি বলে নির্বাচন হলে কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি বলি, সাথে সাথে সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচন হলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে, জনগণের রায়ের মাধ্যমে যেই দল যেই ব্যক্তি বা যারা দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবে তখন সমস্যার যে জট, সমস্যার তা আস্তে আস্তে খোলা যাবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিএনপির বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বক্তব্য রাখেন।