গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি ক্যাবের

বিশেষ প্রতিনিধিঃ গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির অপতৎপরতা বন্ধের দাবি করেছেন কনজুমার্স এসোসিয়েশনের (ক্যাব) উপদেষ্টা অধ্যাপক এম. শামসুল আলম। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহে অন্যায়ভাবে লুণ্ঠনমূলক ব্যয়বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এই খাতে আর্থিক ঘাটতি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা হারায়। তাতে ভোক্তা জ্বালানি সুবিচার বঞ্চিত হয় ও তার জ্বালানি অধিকার খর্ব হয়। নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটি হলে জনগণের ওপর চাপ বাড়বে বলেও জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ক্যাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক শামসুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘন ঘন জ্বালানির কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় অসহনীয় ব্যয়বৃদ্ধি ঘটেছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা চরম বিপর্যয়ে পড়ে। জনগণের মৌলিক অধিকার বিপন্ন হয়। এখনো পরিস্থিতির কোন উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। বিইআরসি লুণ্ঠনমূলক ব্যয় ও মূল্যহার কমানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি। সরকারকেও কোন পরামর্শ দেয়নি। বরং পেট্রোবাংলা এবং তিতাস, বাখরাবাদ, জালালাবাদ, পশ্চিমাঞ্চল, সুন্দরবন ও কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানিসমূহের প্রাকৃতিক গ্যাসের শিল্প ও ক্যাপটিভ শ্রেণীতে বিদ্যমান, প্রতিশ্রুত ও সম্ভাব্য ভোক্তার গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধির প্রস্তাবের উপর ২৬ ফেব্রুয়ারি বিইআরসি দিনব্যাপি শুনানির আয়োজন করেছে। তারা গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিদ্যুতেরও শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যহার কমিয়ে আনুন, মানুষকে স্বস্তি দিন।