অর্থ-বাণিজ্য

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২য় ষান্মাসিক (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনের ৫ম তলায় জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।

মুদ্রানীতি ঘোষণার পর গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতী ৬ শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। এবারের মুদ্রানীতিতে ৪টি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং পলিসি করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতী নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমলে অসুবিধা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতবারের মুদ্রানীতিতে নেওয়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও আগের চেয়ে বৃদ্ধি পায়নি মন্তব্য করে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। আগের চেয়ে না বাড়লেও গত নভেম্বর থেকে ক্রমাগত কমছে মূল্যস্ফীতি।

এবারও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকারে রেখে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান গভর্নর।

সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতির একটি খসড়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চাহিদাজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমন, বিনিময় হারের চাপ নিয়ন্ত্রণ, সরকারের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রয়াজনীয় অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে মুদ্রানীতিতে।

জানানো হয়, ৪ শতাংশের ব্যাংক রেটে পরিবর্তন আনা হয়নি। জুনের ভেতর মূল্যস্ফিতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে মুদ্রানীতিতে। এ সময়ে মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাজারে টাকার যোগান বাড়তি হয়নি বরং মুদ্রামুদ্রাস্ফীতিকে লাগাম দেয়া গেছে। সুদের হার বেড়েছে ঋণের, আমানতেও সুদ হার বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। ডলারের দাম ১১০ টাকায় রাখা গেছে। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় এখনো সেভাবে ডলারের দাম বাড়েনি। অতি নমনীয় বা কম নমনীয় হয়নি টাকা।

নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফিতিকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত নামিয়ে না আনা পর্যন্ত সকল সংকোচন মূলক নীতি অব্যাহত থাকবে। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতির প্রেক্ষিতে মূল্য স্ফিতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।

স্যামসাংকে টপকে গেলেও অবস্থান ধরে রাখতে পারবে অ্যাপল?স্যামসাংকে টপকে গেলেও অবস্থান ধরে রাখতে পারবে অ্যাপল?
জুন ‘২০২৪ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ করা হয়েছে। যেখানে সরকারী ঋণে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরবৃন্দ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা, চিফ ইকোনোমিস্ট, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্ররা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button