জাতীয়

কিডনির অবৈধ ব্যবসায়ীর মূল হোতা মুন্না, টুটুল সহ তিনজন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃকিডনি প্রতিস্থাপনে রোগীদের ব্যাপক চাহিদা দেখেন। এরপরই জড়িয়ে পড়েন অবৈধ কিডনি ব্যবসা। মূল হোতা মুন্না ও টুটাল সহতিনজনকে আটক করেন স্মৃতিসৌধ পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ অলক কুমার দে। তথ্যসূত্রে জানা যায়
প্রায় শতাধিক সাধারণ মানুষকে ডোনার হিসেবে ভারতে নিয়ে গেছেন। কিডনি প্রতিস্থাপন প্রত্যাশীর কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিতেন। আর কিডনি দানকারীর সঙ্গে চুক্তি করতেন ৫ লাখ টাকা। অবৈধ কিডনি চক্র হোতা মুন্না ও টুটুল।
তিন সংবাদ কর্মীর দৃষ্ট ভূমিকা থাকায়, আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন পুলিশ। প্রথমে গাজীপুর কালিয়াকৈরের বাসিন্দা মোহাম্মদ রানা বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এরপরে উঠে আসে কিডনি পাচার চক্রের ভয়াবহ দৃশ্যতা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত টানা অনুসন্ধানের পর কিডনি পাচার চক্রের সন্ধান পান সংবাদ কর্মীরা। যার কারণে চরম হেনস্তার শিকার হতে হয় সংবাদ কর্মীদের। নানান অপবাদ ও অপপ্রচার করা হয় সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের ভূমিকা থাকার কারণে আসামি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন অনুসন্ধানের টিম। মূল হোতাকে চিহ্নিত করার পর মহাসড়কের মাঝখানে সংবাদ কর্মীদের গায়ে হাত ও লাঞ্ছিত করেন অবৈধ কিডনি ব্যবসায়ী কুচক্র মহল। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয় অনেক সময়। পরবর্তীতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশুলিয়া থানায় নিয়ে যান। সংবাদ কর্মীদের কাছে থাকা তথ্য সঠিক থাকায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
কয়েকজন ভুক্তভোগী ও মামলারবাদি, ভিডিও কলে এসে পুলিশের কাছে ভিডিও কলে বিষয়টি আশ্বস্ত করেন এবং প্রতারিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের ও জড়িত সকলদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

এ বিষয়ে ফাড়ির ইনচার্জ সাংবাদিকদের বলেন, তথ্য প্রমান সত্য থাকার কারণে সংবাদ কর্মীদের হেনস্থা থেকে রক্ষা করে তাদের উদ্ধার করা হয়। এবং আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত ও অপমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা ইচ্ছা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন। জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button