নিখোঁজ এমপি আজীমের মরদেহ উদ্ধার
মুক্তমন রিপোর্ট : ভারতে যাওয়ার পর কয়েকদিন ধরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার এর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। কলকাতার নিউটাউন এলাকা থেকে আজ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কলকাতা পুলিশ। তারা বলছে সেখানে একটি ফ্ল্যাট থেকে তার পঁচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।
এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গে যান আনার। ১৬ মে দিল্লি যাওয়ার কথা জানানোর পর থেকে নিখোঁজ তিনি। টানা ৬ দিন দুই দেশের গোয়েন্দাদের চিরুনি অভিযানেও কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
এমপি আনারের খোঁজে ভারতের বিশেষ টাস্কফোর্স এসটিএফের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখাছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এসটিএফ ডিবিকে জানিয়েছিল, আনারের সবশেষ অবস্থান ছিল উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরাবাদে। এছাড়া একাধিক এলাকায় তাঁর সিমের লোকেশন পাওয়া গেছে।
আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনার।
ধবার (২২ মে) সকালে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ খবর দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভারতে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই সংসদ সদস্যের। রোববার (১৯ মে) পরিবারের পক্ষ থেকে তিনদিন ধরে এমপির সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়টি রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে অভিহিত করা হয়।
সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ জানান, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনি আরও জানান, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি তদারকি করছে।
ভারতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার অন্তর্গত ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেন আনার। মূলত ডাক্তার দেখানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ওই বন্ধুর বাড়ীতে আসেন তিনি। পরদিন ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যা বেলায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস।