শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিক সংঘর্ষ-আগুন
জেলা প্রতিনিধি, বরিশালঃ বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রীর কাছ থেকে হাফভাড়া না নেয়ার জেরে বাস শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল রূপাতলী বাসটার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে। শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো টার্মিনালে থাকা পথচারী, যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহত বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা হলেন, সাব্বির আহমেদ, রাফি ও রিয়াজ।
বিএম কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জানান, বিকেলে বিএম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক ছাত্রীর বরিশাল ঝালকাঠি সড়ক পথের একটি বাসের হেলপারকে হাফভাড়া নিতে বলে। বাসের হেলপার হাফভাড়া না নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কবিতর্কসহ খারাপ আচরণ করে। এরপরই বিএম কলেজ আমরা টার্মিনালের সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছিলাম। এ বিষয়ে বাস টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট কেউ আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। উল্টো শ্রমিকরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া দেয়। এর আগে আমাদের তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। তাই মারধরের ঘটনায় জড়িত শ্রমিকদের বিচার ও হাফভাড়া নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সভাপতি জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, হামলা-ভাংচুর কিংবা সড়ক অবরোধ করে জনগণের ভোগান্তি না করে বাস স্টাফ ও মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হতো। তাহলে জনদুর্ভোগ হতো না বলে জানান তিনি।
বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক বিদ্যুৎ চন্দ্র দে বলেন, বাসের ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বরিশাল কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের হামলা ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।