গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাসের নির্মম সকাল শুরু

নির্মম সকাল!
নদীর নামে টিভির নাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অসাধারণ ভূমিকা। সে বিষয় আজকের সকালের প্রোগ্রাম। বাস্তবতা হচ্ছে বৈষম্য হাতে হাতে।উপদেষ্টা থেকে সমন্বয়ক, সবার ঘরে বাতির নিচে অন্ধকার!
উপস্থাপক প্রযোজক টাকা পান, যাতায়াতের ড্রাইভারও যথাযথ পান অর্থ। পায় না কেবল মূল আলোচক। এমন করে চলছে টেলিভিশন অনুষ্ঠান।
মুখোশপরা পাঠশালায় দীর্ঘ ত্যাগে জুলাই সরকার!
রুচিসম্মত চিন্তার উন্নতি ভয়াবহ। আর অর্থহীন আয়োজন কেবলমাত্র কবি লেখকদের দিয়ে সম্ভব। কিন্তু শিল্পী স্টুডিওতে এলে আবার সম্মানি পান। লেখকরা পানি খাবার মগ, তাদের মগের খুব অভাব!
অবশ্য লেখক বুদ্ধিজীবীদের কোথাও সম্মান নেই। না ঘরে না বাহিরে। যেমন আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে সরকারের বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান জাতীয় জাদুঘরে। আলোচনায় নেই লেখক বা একজন গ্রন্থাগারিক…আছেন আমলা!
উল্লেখ্য বইমেলায় প্রকাশকের মেলায় অংশ নিতে বাংলা একাডেমির নিয়ম ছিল, লেখক রয়েলিটি চুক্তি জমা দিতে হবে। এবারে কতজন দিয়েছে জানেন? ছাপাখানা থেকে সবাই সবার অর্থ পাবে, পাবে না কেবলমাত্র অবহেলিত লেখক…
এইভাবে গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাসের নির্মম সকাল শুরু।
আরও ৩টি জরুরি তথ্য
১। আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস, অনেক আয়োজন করেছে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। অথচ তাদের সব রেডিওথেরাপি মেশিন নষ্ট কয়েক বছর ধরে।
২। আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। জাদুঘরে প্রধান আয়োজনে আলোচকের তালিকায় নেই কোন লেখক, কবি বা গ্রন্থাগারিক। আছেন আমলা, উপদেষ্টা ও বিভিন্ন সংস্থার পরিচালক। আয়োজক জানালেন, এখানে লেখকের কাজ কী!
৩। লাইব্রেরি/ বই বিষয়ক দেশের একমাত্র মাসিক সরকারি পত্রিকা জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে প্রকাশ হয় বই। গত বছর এপ্রিল মাসে শেষ সংখ্যা বের হয়েছে। ১০ মাসে একটি সংখ্যাও প্রকাশিত হয়নি।
কোথায় আমাদের সংস্কার, কোথায় আমাদের পুরনো বন্দোবস্ত নিয়ে ভাবার সময়? নাকি আড়ালে পতনের উৎসব শুরু!
(লেখাটি লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া।)