যুগের সাথে তাল মেলাতে ব্যর্থ আবাহনী ক্লাব
মির্জা তাওসিফ : ছবিগুলোয় খেয়াল করুন। যেখানে ১ নাম্বার ছবিতে দেখা যাচ্ছে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে সিলেটে সিএনজিতে করে স্টেডিয়ামে যাচ্ছে আবাহনীর ফুটবলাররা। যা দেশের শীর্ষস্তরের একটা ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের সাথে বেমানান এবং দৃষ্টিকটু। তদ্রুপ ৪ নাম্বার ছবিতে কুমিল্লার একটা লোকাল বাসকে টিম বাস হিসেবে নেয় আবাহনী এবং সাদা কাগজে লিখে রাখে ‘আবাহনী ফুটবল টিম”।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটা ক্লাবের একটা নিজস্ব টিম বাস নেই এই কথাটিই তো সবচেয়ে বড় লজ্জার! আবার সাদা কাগজে ক্লাবের নাম লিখে রাখা। একবিংশ শতাব্দীতে এসে একটা পেশাদার ফুটবল ক্লাবের থেকে এসব আশা করে কোনো ফুটবলপ্রেমী?
২ নাম্বার ছবিতে আবাহনীর ট্রাকসুট পড়া ফুটবলার রয়েছেন। ট্রাকসুট টির ডিজাইন এবং কালার ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক মার্শেই থেকে হুবহু কপি করে শুধু লোগো বসিয়ে দিয়েছে। এবং ট্রাউজার এবং জার্সিতে স্পন্সর হিসেবে দৃশ্যমান বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড পুমা। আদতেই কি তাই? একটা সামান্য ট্রাকসুটের ডিজাইন কপি করা এবং পুমার মতো ব্র্যান্ডের লোগো এভাবে ট্র্যাকসুটে রাখা কতটা অদূরদর্শিতার এবং লজ্জার কাজ? নিশ্চয়ই পুমা আবাহনীকে স্পন্সর করেনি!
৩ নাম্বার ছবিতে আবাহনীর কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির পরিহিত টি-শার্টে আবার এডিডাসের লোগো। দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র ক্লাবগুলোর লোগো পরিবর্তন করে আবাহনী নিজস্ব লোগো বসিয়ে দিচ্ছে। এখানেও নিশ্চয়ই এডিডাস আবাহনীকে স্পন্সর করেনি?
দেশের শীর্ষস্তরের সর্বোচ্চ লিগ টাইটেল জয়ী এবং অন্যতম পুরনো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি কি আসলেই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না নাকি ইচ্ছাকৃতই এরূপ কাজ করে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে ক্লাবকে হাসির খোরাক জোগানোর কাজ করছে সেটা প্রশ্ন হিসেবেই থেকে যায়।