খেলা-বিনোদন

ভবিষ্যৎ মাথায় নিয়েই সরেছেন হান্নান

স্পোর্টস রিপোর্টারঃ ‘লম্বা ক্যারিয়ারের জন্য নির্বাচক পদটা পারফেক্ট নয়’ এ কথা দিয়েই শুরু করলেন হান্নান সরকার। পরে অবশ্য কেন এমনটা মনে হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দেন জাতীয় দলের সদ্য সাবেক এই নির্বাচক। নির্বাচক পদে কাজ করা উপভোগ করার পরও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে কোচিংয়ে ফিরছেন হান্নান সরকার। তিনি জানান, নির্বাচক প্যানেলের দায়িত্ব শেষে কোনো না কোনো সময় কোচিংয়ে ফিরতেই হতো। সে কারণেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব পান হান্নান সরকার। ৯ বছর বয়সভিত্তিক দলে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করার পর জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন। নির্বাচকের দায়িত্বে আসার আগে অবশ্য কোচ হিসেবেই ক্রিকেট-পরবর্তী ক্যারিয়ার শুরু করেন হান্নান সরকার। ফলে বলাই যায় পুরোনো পেশায় ফিরে যাচ্ছেন তিনি। তবে পুরোনো পেশায় ফেরায় আগে কোনো আক্ষেপ নেই তার। নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার দেশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন হান্নান সরকার। তিনি জানিয়েছেন কেন নির্বাচকের চাকরি ছেড়ে আবার কোচিংকে বেছে নিলেন।

তিনি বলেন, ‘লম্বা ক্যারিয়ারের জন্য আসলে নির্বাচকের চাকরিটা সঠিক নয়। আমার চুক্তির মেয়াদ আরো এক বছর ছিল। ভবিষ্যতে হয়তো আরো বাড়ত। আরো বেশ কয়েক বছর করতে পারতাম। কিন্তু একটা সময় গিয়ে আসলে কোচিংয়েই ফিরতে হতো। যে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া লাগত, সেটা একটু আগেই নিলাম।’

কোচিং পেশা নিয়ে কী ভাবছেন? সাবেক টেস্ট ক্রিকেটারের ভাষ্য, ‘ইচ্ছা তো বিসিবির সঙ্গে কাজ করব। এইচপি, বয়সভিত্তিক আরো অনেক সুযোগ আছে বিসিবিতে। যদি আপাতত তারা আমাকে সামর্থ্যবান মনে না করে, তাহলে কোনো না কোনো একাডেমিতে কাজ শুরু করব। আর প্রিমিয়ার লিগে কোচ হিসেবে কাজ করার কথাবার্তা চলছে। আশা করি প্রিমিয়ার লিগেও কোচ হিসেবে কাজ করব।’

নির্বাচকের পদ থেকে সরে যাওয়ার আগে কোনো আক্ষেপ আছে কি না- এ প্রসঙ্গে হান্নান সরকার বলেন, ‘শেষ এক বছরে সবার সঙ্গেই দারুণভাবে কাজ করতে পেরেছি। এখানে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ, মুশফিক (মুশফিকুর রহিম), তামিম (ইকবাল) ওদের সঙ্গে আলোচনা করে অবসরটা নিশ্চিত করতে পারছি। তাদের বিদায় নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। অস্ট্রেলিয়ায় এইচপি দলের সফর, পাকিস্তানে ‘এ’ দল, জাতীয় দলের সফর- কোথায় কোন ক্রিকেটারকে খেলাব, সেটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সব মিলিয়ে আমার মনে হয় ভালো কাজ করেছি। জাতীয় দলের দায়িত্ব আসার আগে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবে বিশ্বকাপ-এশিয়া কাপ এনে দিতে পেরেছি। এর অংশ হতে পেরে গর্বিত।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button