বিদ্রোহের মধ্যে বাটলারের অনুশীলনে নতুন ফুটবলার

স্পোর্টস রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ নারী ফুটবলে চলছে অচলাবস্থা। সাবিনা খাতুনদের বিদ্রোহের মধ্যেই চলছে অনুশীলন ক্যাম্প। কিন্তু অধিনায়ক সাবিনা খাতুনসহ সিনিয়র ১৮ ফুটবলার বিদ্রোহ করে নিজেদের অবস্থানে অনড় আছেন।
১২ ফুটবলার নিয়ে ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার অনুশীলন চালিয়ে যান। এবার তার অনুশীলনে যোগ হলো বেশকিছু নতুন খেলোয়াড়ও। তারা বিকেএসপি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের ফুটবলার।
তবে বিকেএসপির মহাপরিচালকের অনুরোধেও সাবিনাদের সঙ্গে বিদ্রোহী অবস্থানে থাকা বিকেএসপির শিক্ষার্থী তিন ফুটবলার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি।
বাফুফের সহায়তায় বিদ্রোহীদের বাদ দিয়ে বিকল্প দল তৈরি ও পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনের জন্য জুনিয়রদের তৈরি করার চেষ্টা করছেন কোচ বাটলার। আগামী মে মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে অনুশীলন ক্যাম্পে ফুটবলারদের তৈরি করছেন ইংলিশ কোচ।
শুধু সেনাবাহিনী ও বিকেএসপিই নয়, গত বছর সাফের আগে বাদ পড়ে যাওয়া ফুটবলারদের ক্যাম্পে ডাকছে বাফুফে। আনাই মোগিনী জানান, বাদ পড়া ৬ ফুটবলারকে ডাকা হয়েছিল। তবে সাড়া দেননি আনাই।
কোচ বাটলারকে না সরালে অনুশীলনে যোগ দেবেন না সাবিনারা। এমনকি গণঅবসরের ঘোষণাও দেন তারা। এ অবস্থায় কোচ ও খেলোয়াড় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাফুফে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। এই কমিটির কাজ চলমান।
বুধবার বাফুফেতে সভাপতি তাবিথ আউয়াল আসার কথা রয়েছে। এর আগেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টায় কমিটি। কেননা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সংকট নিরসন করতে হবে।
জানা যায়, সোমবার কোচ বাটলারসহ কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিশেষ কমিটির সদস্যরা। এর আগে সাবিনাদের কথাও শুনেছে কমিটি। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে বিশেষ কমিটি।
এদিকে জানা যায়, জাপানি বংশোদ্ভূত সাফ জয়ী নারী ফুটবলার সুমাইয়া মাতসুসিমাকে ক্যাম্পে না পাঠানোর জন্য তার বাবাকে ফোন করে বলেছেন বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
বাফুফে সভাপতি বরাবর যে চিঠি দিয়েছেন সাবিনা খাতুনরা, সেটি ইংরেজিতে লিখে দেন সুমাইয়া। তাই সাবিনাদের সঙ্গ ছাড়তেই তার বাবাকে ফোন দেন কিরণ। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে কিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি তিনি।