রাজনীতি

গণহত্যার বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি দেবে গণঅধিকার পরিষদ

মুক্তমন ডেস্ক রিপোর্টঃ গণহত্যা বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজকে গণঅধিকার পরিষদের পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা তার প্রভু রাষ্ট্র ভারতে পালিয়ে গিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করছে এবং ষড়যন্ত্রমূলক অডিও রেকর্ড প্রকাশের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে একেরপর এক উস্কানি দিচ্ছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে ইতোমধ্যে গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে গুপ্ত হামলা, ঝটিকা মিছিল ও গণসংযোগ শুরু করেছে। গত ২ফেব্রুয়ারি তারিখে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গণহত্যাকারী আওয়ামী দুর্বৃত্তরা পুলিশের গাড়ি থেকে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও ছাত্র-জনতা-নাগরিক অভ্যুত্থানের সরকারকে উৎখাত করতে দেশব্যাপী নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে তারা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।

তারা বলেন, আওয়ামী ৫৭২ নেতা ও দোসরদের জামিন হয়েছে। গণহত্যার মামলার আসামিরা কিভাবে জামিন পাচ্ছে, আমরা সরকারের কাছে সেটির স্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাই। এছাড়া জুলাই -আগস্টে ছাত্র-জনতা-নাগরিকদের গণঅভ্যুত্থানে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানো অপরাধীদের কতজন গ্রেফতার হয়েছে সরকারের কাছে সেটি জানতে চাই।

ইতিহাসের জঘণ্যতম গণহত্যার সঠিক বিচার না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থাকে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই গণহত্যার বিচার হতে হবে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার, জেলে ও দেশের বাইরে রেখে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর নয়। তাই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন হিসেবে জনগণের পক্ষ থেকে আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি জুলাই গণহত্যায় জড়িত গণহত্যাকারীসহ বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমে দেশের সম্পদ লুটপাট ও দেশের অর্থ বিদেশে পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তি’ এর দাবিতে ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

তাদের দাবী

১/ জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত ,ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি ,ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

২/ বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাউন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার এবং গণহত্যার সাথে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

৩/ ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারের জড়িতদের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করা।

৪/ গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় রাষ্ট্র সংস্কার ও আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমাণে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুর্নগঠণ ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।

৫/ বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রেজিমের গুম-খুন ও ১৪,১৮ এবং ২৪ সালের ভূয়া নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা।

এসময় বক্তব্য তুলে ধরেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, ফাতেমা তাসনীম প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button